পার্থ রায়,মধুখালী উপজেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালীতে ছোট ভাইকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে আপন বড় ভাই এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ আগষ্ট রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের দাড়িরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যুবকের নাম সাদ্দাম শেখ (২৫)। সাদ্দাম কৃষি কাজ করতো। সাদ্দাম শেখ জাহাপুর ইউনিয়নের দাড়িরপার গ্রামের মৃত আলতাফ শেখের ৫ম সন্তান।

৬ মাস পূর্বে সাদ্দাম বিয়ে করেন। তবে পরিবার ও এলাকাবাসির দাবী অভিযুক্ত ভাই আনিছ মানসিক ভারসাম্যহীন। জানা যায়, উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের দাড়িরপাড় গ্রামের বাসিন্দা মৃত আলতাফ শেখের ৬পুত্র। গত ২২ জুলাই আলতাফ শেখ মারা যান। আগামী শুক্রবার পারিবারিক উদ্যোগে আলতাফ শেখের মৃত্যুতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এনিয়ে পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত ছিলেন। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২আগষ্ট আলতাফ শেখের চতুর্থ সন্তান আনিছ শেখ (৩৫) হঠাৎ করেই তার আপন ছোট ভাই (আলতাফ শেখের ৫ম সন্তান) সাদ্দাম শেখ (২৫) কে বাঁশের মোথা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবী আনিছ শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন যাবৎ তার চিকিৎসা চলছে। নিহত সাদ্দাম শেখের বড় ভাই আওয়াল শেখ জানান, আনিছ দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক রোগী।

মাঝে মধ্যেই সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। বিশেষ করে শীতের সময় বেশি সমস্যা হয়। হঠাৎ করেই রোববার রাতে পাগলামি শুরু করে, এসময় ছোট ভাই সাদ্দাম তাকে থামাতে গেলে আনিছ বাঁশের মোথা দিয়ে পিটিয়ে সাদ্দামকে হত্যা করে। তিনি আরো জানান, এ সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। খবর পেয়ে সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। নিহত সাদ্দাম শেখের স্ত্রী মদিনা বেগম বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র ৬মাস। এর মধ্যেই স্বামীকে হারাতে হলো। তিনি বলেন, আমি বাবার বাড়িতে ছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি আমার স্বামী আর নেই।

ওকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে আমার ভাসুর আনিছ। জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসহাক আলী মোল্যা বলেন, আনিছ দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ্য। মানসিক ভারসাম্যহীন সে। হঠাৎ করেই সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং আপন ছোট ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি খুব হৃদয়বিদারক। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, রাতেই আনিছকে আটক করা হয়েছে। তবে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। সাদ্দামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।